সালাতের নির্ধারিত সময়সূহ
আসসালামু
আলাইকুম। এর আগের পর্বে আমরা দেখেছিলাম সালাম এর গুরুত্ব সম্পর্কে। যদিও আমরা অনেক
সংক্ষিপ্ত করে দেখেছিলাম সালাম কি এবং এর গুরুত্ব কতটুকু। তবুও আশা করছি এর মধ্যেই
অপনার সালাত কি সেটা বুঝতে পেরেছেন এবং সালাম বা নামাজ এর গুরুত্ব যে কত অসীম তা বুঝতে
পেরেছেন। কেননা একজন মুসুলমান হিসাবে সালাত আমাদের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়।
সালাত বা নামাজ সম্পর্কে আরেক টি হাদিস দেখার পরেই আমরা দেখোবো সালাতের সময়সূহ।
আবুদ দরদা
(রা.) ছিলেন আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর বন্ধ । তিনি বলেন, আমার বন্ধ রাসুল
(স.) আমাকে বেশ কয়েকটি উপদেশ দিয়েছেন :- (১) তুমি মহান আল্লাহর সাথে কাওকে শরিক করবে
না , যদি তোমাকে খন্ড বিখন্ড করে দেওয়া হয় বা আগুনে পুরিয়ে দেওয়া হয় তাও না। কেননা
মহান আল্লাহ এক , তিনি আমাদের রব। (২) ইচ্ছা করে কখনো ফরজ সালাত ছেড়ে দিবে না। যে
ব্যাক্তি উচ্ছা করে সালাত ছেড়ে দেয় তার উপর থেকে ইসলামের নিরাপত্তা উঠে যাই। (৩) মদ
পান করবে না ,কেননা মদ হচ্ছে সকল মন্দের চাবি কাঠি।
রাসুল (স.)
এর দেওয়া উপদেশের ২য় উপদেশ থেকে আমরা ইস্পষ্ট
ভাবে বুঝতে পারি সালাম কতটা গুরুত্বপূর্ন । তাই আমরা কখনো ইচ্ছা করে সালাত ছেড়ে
দেব না। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার তেীফিক দান করুন ।
সালাত
এর সময়সমূহ:- সালাত
এর সময় বলতে নির্দিষ্ট সময়ে সালাত আদায় করাকে বুঝায। যা মহান অল্লাহ তায়ালা বলে দিয়েছে।
সূরু আন নিসা , আয়াত নম্বর ১০৩ এ মহান অল্লাহ তায়ালা বলেন নিশ্চয় নির্ধারিত সময়ে সালাত
আদায় করা মুমিনদের উপর ফরজ। তাই আমরা সালাত
আদায় করবো নির্ধারিত সময়ে।
সালাত এরা
সময়সমূহ এর অনেক হাদিস আছে যা সহীহ। কিন্তু আমরা কয়েকটি হাদিস দিয়েই বঝানোর চেষ্টা
করবো ইনশাল্লাহ। পরবর্তীতে আপনারা আরো জানতে পারেন।
আব্দুল্লাহ
বিন আমর (রা.) তিনি বললেন , রাসুল (স.) বলেছেন , সূর্য ঢলে পরার সাথে সাথে যহুরের সালাত
এর ওয়াক্ত হয়। এবং মানুষের দৈর্ঘ তার সমান হওয়ার সাথে সাথে আসরের সালাত এর ওয়াক্ত হয়।
আসরের সালাত এর আগ পর্যর্ত যহুরের সালাত আদায় করা যায়। আসরের সালাতের ওয়াক্ত যহুরের
সালাত এর পর থেকে যে পর্যন্ত সূর্য হলদে রং ধারন না করে এবং পশ্চিম আকাশে লালিমা মিসে
যাবার আগ পর্যন্ত মাগরিবের সালাতের ওয়াক্ত থাকে। আর ইশার সালাত এর ওয়াক্ত মাগরিবের
সালাতের পর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যর্ত । ফযরের সালাত এর ওয়াক্ত সুবেবহে সাদিকের
উদিত হবার পর থেকে সূর্যদয় পরযন্ত ।
হাদিসটির
ব্যাখ্যা :- হাদিসটির দ্বারা খব সুন্দর ভাবে
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত এর সময় বর্ণনা করা হয়েছে। আমরা এখন এর এক এক করে ব্যাখ্যা দেখবো।
যুহর
এর সময়:- দুপুর বেলাই
সূর্য যখন নিরক্ষরেখার উপরে পেীছে যাওয়ার পর পশ্চিমদ দিকে গড়তে আরাম্ভ করে ঠিক তখুন
যুহরের ওয়াক্ত হয় । এবং মানুষের বা প্রতিটি বস্তুর ছায়া তার সমপরিমান হওয়া পযন্ত যহুর
ওয়াক্ত বিদ্যামান থাকে। রাসুল (স.) কখনো কখনো এই সালাত দেরিতে পরতেন।
আসর
এর সময়:- মানুষের
বা প্রতিটি বস্তুর ছায়া তার সমপরিমান হওয়ার পর আসরের সালাক এর ওয়াক্ত শুরু হয়। এবং সূর্য ডুবতে আরাম্ভ হওয়া পযন্ত এর সময় থাকে।
যুহর এবং আসর সালাত একয় সময়ে আরাম্ভ হয় না। তবে যুহর ও আসর সালাত এর মধ্যে কোন সমময়
ফাকাও থাকে না। বরং একটির পর পরই আরেকটি শুরু হয়। আসরের সালাত এর গুরুত্ব অনেক। অন্যসবগুলার
চায়তে এটি সময় মতো আদায় করা উত্তম।
মাগরিব
এর সময়:- আসরের পর
পরেই আর্থাৎ সূর্য ডুবতে শুরু করলেই মাগরিব এর সময় শুরু হয়। এবং পশ্চিম আকাশে সূর্য
এর লাল আভা থাকা পরযন্ত এর বিদ্যামান থাকে।
ইশার
এর সময়:- পশ্চিম আকাশে
লাল আভা গায়েব হওয়ার পর পরেই এর সময় শুরু হয়। এবং মধ্য রাত পরযন্তু ইশার ওয়াক্ত থাকে।
এটি দেরিতে পরা উত্তম।
ফযর
এর সময়: - সূর্য উদিত
হওয়ার সাথে সাথে ফযর এর সালাত শুরু হয় এবং সূর্য উদিত হতে আরম্ভ করলে এর ওয়াক্ত শেষ
হয়।
0 মন্তব্যসমূহ