তুরগুত আল্প এর জীবনি

 



তুরগুত আল্প এর জীবনি 


তুরগুত আল্প যে আমাদের সবার কাছে তারগুত নামে পচিত। তিনি ছেলেন সেলজুগ সাম্রাজ্যের সেনা। তিন ছিলেন আরতুগ্রল গাজির প্রধান সেনি। আরতুগ্রল এর গাজির ‍ুতিন জন প্রধান সেনা ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই তুরগুত। দিরিলিস আরতুগ্রল এর সিরিজে তুরগ্রত হচ্ছে অন্যতম প্রধান চরিত্ত। আরতুগ্রল যখনোই কোন যুদ্ধে যেত তুরগুতকে সাথে নিতো এবং তুরগুতো যেত। কেননা তুরগুত ছিলো বীর যোদ্ধা এবং সে যুদ্ধ পছন্দ করতো।

 

সবার জিবনেই একজন মনের মানুষ থাকে। সেটা পরিনতি হয়ে উঠে ভালোবাসাই । তুরগুতো তার বাইরে নয়। তার জীবনেও ছিলো। তবে তাদের ভালোবাসা ছিলো চমৎকার। তারা একি বসতিতে থাকথো। মেয়েটি হচ্ছে আইকিস। আইকিস ছিলেন দেরিদেমির ওস্তাদ এর একমাত্ত মেয়ে। তার মা মারা গেছেন অনেক আগেই। তার বাবা দেলিদেমির এর কাছেই সে মানুষ।

 

তুরগুত আর আইকিস এর ভালোবাসার কথা সবাই জানে। তাদের বিয়েও হবে কথা ঠিক করা আছে । শুধু একটা ভালো সময়ের অপেক্ষা। কেননা বসতির অবস্থা ভালোনা । মঙ্গলদের অক্রমন তো রয়েছেই। আর তুরগ্রত তো ছিলো আরতুগ্রলা এর প্রধান সেনা। সেইদিক থেকেই তুরগুতো বসতিতে থাকতে পাই না। সবসময় আরতুগ্রল এর সাথে নানা যুদে্ধ ব্যাস্ত থাকে।

 

তুরগুত যুদ্ধে যেত আর আইকিস কে বিদায় বলার সময় আইকিস এর মন খারাপ হয়ে যেত । কেননা ভালোবাসার মানুষকে যুদ্ধে যেতে দেওয়া মানে অনেকটাই মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। তবুও তারা আল্লাহর ভরসা রাখতো। আইকিস তুরগুতকে সাহস যোগাতো । বলত আমি জানি তুমি যুদে্‌ধ জয়ী হয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে এবং এই বসতিকে রক্ষা করবে। আইকিস অনেক ধৈর্য ধারন কারতেন।

 

 


একবার আরতুগ্রল হালিমা সুলতানা ,তার ভাই ও বাবা কে নিয়ে হাল্লাপ শহরে নিয়ে যাচ্ছিলো। তার সাথে প্রধান সেনা ছিলো তুরগুত। তারা অনেকটা পথ যাওয়ার পর মাঝে বিশ্রাম নেই। ইতিমধ্যে নাইটরা হামলা করে বসে। অনেক কিছু হয়ে যাই। এর মধ্যে আরতুগ্রল হালিমার ভাই ইগিত কে নিয়ে চলে যেতে বলে এবং তার রক্ষা করতে বলে। কিন্তু নাইটদের অনেক সন্য থাকাই তুরগুত ও ইগিত কে ধরে ফেলে। তাদের কে কেলাই নিয়ে যাই। এবং তুরগুত এর ওপর অত্যাচার শুরু করে।

 

এইদিকে আরতুগ্রলরা বুঝে যাই যে তুরগুতকে ধরে নিয়েছে। এই খবর আইকিস পাওয়াই আইকিস বেহুস হয়ে যাই । কোন রকুম করে সে ধৈর্য ধারন করে। কিন্তু দোস দেয় আরতুগ্রলের যে আপনি তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন। ওইদিকে তুরগুতের ওপর অত্যাচার বাড়তে থাকে এক সময় তাকে পাগল করে দেওয়া হয় । তাকে পাগল করে নাইটদের সৈন্য বানিয়ে নেওয়া হয়।

 

এইদিকে আইকিস তো চিন্তাই থাকে।  সবসময় সে উদাস হয়ে থাকে । আর আল্লাহর কাছে দুয়া করতে থাকে তুরগুত এর জন্য। অনেত চেষ্টার পরেও তাকে ফিরিয়ে আনতে ব্যার্থ হয়। অনেক দিন পর এবং অনেক ঝামেলার পর তুরগুত কে নিয়ে আসা হয়। এবং আইকিস তাকে সুস্থ করে তুলে। বসতিতে শান্তি আসে। আইকিস এর বাবা দেলিদেমির চাই তাদের বিয়ে টা হয়ে যাক। তাই তার প্রস্তাব দেই । তাদের বিয়ে হয়ে যাই। তারা তো অনেক খুসি। তারা হাজরো সমস্যার পরে একে আপরকে পেয়েছে। তাদের ভালোবাসা সফল হয়েছে। এখন তাদের খুসি আর খুসি।

 

কিন্তু এই খুস বেশি ‍দিন থাকলো না। বসতির জায়গা চেন্জ করা হলো। যাওয়ার পথে হামলা করে বসলে অবার মঙ্গলরা। তাদের বসতিকে পুরিয়ে ছাই করে দিলো। কাওকে ছারলো না। নারী পুরুষ,শুশি সবাইকে মেরে ফেলল। সাতে তুরগুত এর ভালোবাসা আইকিসকেও পুরিয়ে দিলো। তবে আইকিস মরে নি। তাকে বসতিতে নিয়ে আসা হলো। চিকিৎসা শুরু করা হলো। বলা হলো কিছুদিনেই সে মারা যাবে। এইদিকে তুরগুত এলো ইগিতকে নিয়ে। সে ছিলো না। এস এই খবর শুনার ‍ৃপর তো ,,,,,, আর নাই বললাম। সে প্রতিশোধ নিতে চাইলো। কিন্তু কিছুই ভালো নাই। এদিকে আরতুগ্রল নিখোজ। সে বেচে আছে কি না তাও কেও জানি।

 

 

যাই হোক সবমিলিয়ে কিছুই ভালো নাই। কয়দিন পর আইকিস মরে গেল। এইদিকে তুরগুলো উদাস হয়ে পরলো। সে নয়ান কে মারার প্লান করতে লাগলো তা কি এতা সহজ। পরে আরতুগ্রল ফিরে আসলো। আইকিস এর প্রতিশোধ নেওয়া হলো। কিন্তু তুরগুত আইকিস কে ভুলতে পারছে না। সে যেন তার মন থেকে এতটুকু সময়ের জন্য সরছে না। তুবুও সবকিছিুকে নিজের করে নিয়ে আরতুগ্রলা এর সৈন্য হয়ে যুদ্ধে জয়ী হতে থাকলো।

 

তার কিছুদিন পরেই আরতুগ্রল তার বিয়ের কথা বলে। কিন্তু তা সে কিভাবে করবে। সে জে আইকিসকে ভুলতে পারেনি এখনো। সে সাফ আরতুগ্রলকে জানিয়ে দিলো না বীম এটা আমি কিভাবে করবো । কিন্তু আরতুগ্রল ছাড়লো না । তাকে বুঝালো। এতে তোমার ভালো বসতির জন্য ভালো। সবকিছু ভাবার পর সে রাজি হয়ে যায়। এবং বিয়ের জন্য প্রস্তিতু নেই। কিন্তু বলে আরতুগ্রল ভাই , আমার সবকিছু জানার পর কে আমাকে বিয়ে করেবে ? আরতুগ্রল বলে সে আর কেও নয় চাপদার কাবিলার সরদার এর মেয়ে অসলেহান খাতুন।

 


তুরগুত তো ওবাক । কি বলেন ভাই। সে কি রাজি হবে। যাই হোক আসলেহান খাতুনো রাজি হয়ে যাই। তাদের বিয়ে হয়। সন্তান হয়। তাদের দিন ভালোই কটছিলো। কিন্তু হটাৎ একদিন এলো এক সমস্যা । সাহাবেদ্দিন কোপেক আসলেহানকে মেরে দেয়। তাকে বিয়ে না করাই । তুরগুত এ খবর পাওয়ার পর…. আর বা নাই বললাম।

 

যাই হোক তুরগুত অনেক সাহসী বীর। কেননা প্রথম ভালোবাসা আইকিস ও আসলেহান দুই জনকেই হাড়ালো সে। সে সব কিছু ভুলে আবার আরতুগ্রল এর সাথ দিতে থাকে। এভাবেই তার সাহসী জীবন কেটে যাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ