আরতুগুল ও হালিমা সুলতানার ভালোবাসার কাহিনী পর্ব -১
ভালোবাসা
হচ্ছে এক অপূর্ব অনুভূতি। কখন কাকে ভালো লাগে কেও জানে না। ভালোবাসা বিষয় টা হটাৎ করেই
হয়। আর আমাদের বীর ভীম আরতুগুলের জীবনেও
এসেছিল এই ভালবাসা। তাদের
ভালোবাসা ছিল সত্য। ছিল অপরূপ প্রেম। হাজারো ষড়যন্ত করেও আরতুগুল ও হালিমা সুলতানার
ভালোবাসাকে কেও আলাদা করতে পারেনি।
তাদের ভালোবাসা
টা শুরু হয় এক অদভূত ভাবে। একদিন আরতুগ্রল শিকারে বের হলে দেখে কিছু নাইটস টেম্পলার- হালিমাদের বন্দী বানিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এরতুগরুল ও তার সাথিরা
সকল নাইটকে হত্যা করে এবং হালিমা ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে তাদের গোষ্ঠিতে নিয়ে যাই। হালিমা
ও তার পরিবার তাদের আসল পরিচয় গোপন রাখে।যে তারা সেলজুক সাম্রাজ্যের এক অভিজাত পরিবারের
সদস্য। আরতুগ্রল তাদের উদ্ধার
করে এবং আসল পরিচয় না জেনেই তাদের সাহায্য করে। এ কারনে হালিমারাও তাকে সম্মান এবং
ভালোবাসার চোখে দেখতো।
এদিবে কায়ি গোষ্ঠতে হালিমাদের আগমনের কারনে দেখা দেয় নতুন
সমস্যা। আরতুগুল
হালিমার কিছু না জেনেই প্রেমে
পড়ে যাই। ওইদিকে হালিমাও কোন অংশে কম নয়। চোখের
ভাষাই ছিল দু’জনের ভালোবাসা
আদান প্রদানের প্রধান মাধ্যম। কেননা তাদেরে একে অপরকে ভালোবাসার
কথা বাকি রয়ে যাই।
হালিমা আরতুগ্রলের
বসতিতে থকতে শুরু করে। নতুন জামা কাপড় পড়ানো হয় তাকে। তাকে দেখতে অসাধারন লাগে। আরতুগ্রল
তার রুপে পাগল হয়ে যাই।এই ভাবে দিন কাটতে থাকে। তাদের বসতিতে নতুন সমস্যা দেখা দেয়।
ফলে হালিমারা তাদের পরিচয় দিতে বাধ্য হয়।
আসতে আসতে
তাদের প্রেম আরো গভীর হয়ে উঠতে থাকে। হালিমা সুলতানা আরতুগ্রলকে একটি উপহার দয়। আরতুগ্রল
তার তরবারিতে সেটি লাগিয়ে রাখে। আরতুগ্রল যখুনি বসতি থেকে দূরে যাই হালিমার দেওয়া উপহার
তাকে হালিমার কথা মনে করিয়ে দেয়। ফলে আরতুগ্রলের
প্রেম ভালোবাসা আরো শক্ত হতে থাকে। আরতুগ্রল হালিমা দুজনেই তাদেরকে খুব মনে করতে থাকে।
তাদের ভালোবাসা হাজারো কষ্টের মধ্যে দিয়ে সুমধুর হয়ে উঠতে থাকে। তাদের ভালোবাসার কথা
বলে শেষ করে যাবে না । যদি না সেটা নিজে দেখা যাই। । আলেপ্পো
শহরে যাওয়ার আগে বিদায় বেলায় হালিমা আরতুগ্রল এর কাছে এলো এবং কিছূক্ষন
কথা চল্লা। তাদের কথাতে স্পষ্ট ভাবে বুঝাগেল যে তারা একে অপরের জন্য প্রয়োজনে জীবন
দিয়ে দিবে।
সবশেষে হালিমা
যে কথা গুলো বলল তা যেন ভালোবাসার অন্যতম বৈশিষ্ট যেটা কাওকে ভালো না বাসলে বুঝা যায়না।
হালিমার কথা
গুলো ছিলো এরকুম:-
“রোধে
যেন পুড়তে না হয়,
বৃষ্টিতে
যেন ভিজতে না হয়,
মাঠিতে
যেন পা ফেলতে না
হয়,
দ্রুত
গিয়ে দ্রুত ফিরে আসুন আরতুগুল”।
আরতুগ্রল
শুধু মাথা ঝুকালেন কিছু বললেন না । তবে তার মনে যেন অনেক কথা বয়ে গেল । তিনি মনে মনে
বললেন -” চিন্তা করোনা হালিমা বাতাসের গতিতে যাবো এবং বাতাসের গতিতে আসবো।”
হালিমাও
আর কিছু বলেলন না শুধু মনে মনে
বয়ে গেলেন মনের কথা। কথা গুলো ছিলো এরকম –” আল্লাহ
জানেন, আপনি ফিরবেন কি না?আর
ফিরলেও দেখা হবে কি না?”
--আরতুগুল
বিদায় নিয়ে চলে যাই।
আর এইদিকে
হালিমারা হাজারো ঝামেলা থেকে বাচাঁর জন্য পালানোর জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করে। কিন্তু
আবার এক ঝামেলায় পরার কারনে হালিমাদের আরতুগ্রলের বসতিতেই থেকে যেতে হয়।
এইদিকে আরতুগুলের বড় ভাইয়ের বউ
সেলচান খাতুন তো যেন উঠে পড়ে
লেগেছে হালিমাকে বসুত থেকে বিদায় করার জন্য। কারন সবাই জানে আরতুগ্রলের বিয়ে কথা ঠিক হয়ে আছে তার
ছোট বোন গোকুচের সাথে। সেলচান খাতুন স্পষ্ট বুঝতে পারছিলেন যে আরতুগ্রল আর
হালিমা প্রেমে জরিয়েছে। তাই সেলচান খাতুন
হালিমাকে বসতি থেকে বিদায়ের চেষ্টা করতে লাগলেন।
ঐদিকে
আরতুগুল আলেপ্পোতে হালিমাকে মনে করতে থাকে। আর দেখতে থাকে হালিমার
দেওয়া উপহারটাকে । আর হালিমাও রাতের আধারে শুধু আরতুগ্রল এর চেহারাই মনে করে। যত ুদিন
যাই তাদের ভালোবাসা বাড়তে থাকে। দূরে থেকেও যেন তারা কাছে আছে ।
এইদিকে তাদের
সমস্যা আরো বাড়তেই থাকে।
0 মন্তব্যসমূহ