সালাত এর গুরুত্ব

 


সালাত এর গুরুত্ব 

নামাজ বা সালাত শব্দ দুইটাকে আমরা সবাই চিনি ও জানি। নামাজ শব্দটি ফার্সি শব্দ থেকে এসছে। আর সালাত শব্দটি আরবি। সালাত এর অনেক অর্থ থকলেও উত্তম হলো দোয়া বা ক্ষমা প্রার্থনা করা। অর্থাৎ অমাদের রব মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা। আর আমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো সালাত। আজকে আমরা সালাত নিয়েই কথা বলব।

 

ইসলাম যে পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত সালাত এর মধ্যে অন্যতম। এই সালাত এর গুরুত্ব অপরিসিম। আমরা সালত এর গুরুত্ব বলে শেষ করতে পারবোনা। অথচ আমরা ঠিক ভাবে সালাত আদায় করি না। সংক্ষেপে সালত সম্পর্কে বলা হলো।

 

সালাতের গুরুত্ব:- প্রথমেই বলেছি সালাত এর গুরুত্ব আপরিসীম। রাসুল (স.) বলেন কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম সালাত এর হিসাব নেওয়া হবে। এটা আমরা সবাই জানি।

 

আবু হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্নিত। তিনি বলেন রাসুল (স. ) বলেছেন:- পাাঁচ ওযাক্ত সালাম এক জুম’অহ হতে অপর জুম’আহ পযর্ত এবং এক রমযান হতে আপর রমযান পযর্ত নব গুনার কাফফারা হয়, যদি কাবিরা গুনাহসমূহ বেচে থাকা হয়। (সহীহ মুসলিম -২৩৩) /( মিসকা-তুল-মাসা-বীহী -৫৭৭)

হাদিসটির ব্যাখ্যা টা এরকুম- আমাদের অনেক কাবিরাহ গুনাহ আছে । আর আমরা যদি তা থেকে বেচেঁ থাকতে চাই তাহলে আমাদের সালত এবং সিয়াম পালন করতে হবে। সালাত এর মাধ্যমে ঔসব কাবিরাহ গুনাহ মহান আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন। তাই আমরা শুধু সালাতই আদায় করবো না বরং পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবো।

 

অন্যএক হাদিসে ,আবু হুরাইরা (রা.) বলেন। রাসুল (স.) বললেন , আচ্ছা বলো তো , তোমাদের বাড়ির কারো দরজার কাছে যদি একটি নদী থাকে , যাতে সে নদীতে দীনে পাঁচবার গোসুল করে তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে , সাহবীগন উত্তরে বললেন না। তখন রাসুল (স.) বললেন, এ দৃষ্টান্ত হল পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের । এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়কারীর গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। ( বাখারী-৫৮২/ মুসলিমম-৬৬৭/ মিসকা-তুল-মাসা-বীহী-৫৭৮)

 

এ হাদিষের ব্যাখ্যা—পাঁচ ওয়াক্ত সালাত কে পবিত্ততা লাভারে মাধ্যম হিসাবে বলা হয়েছে। মানুষের মন এবং হৃদয় এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের মাধ্যমে হয়ে যাই। এমনকি এই পাচ ওয়াক্ত সালাত এর মাধ্যমে সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাই। তবে এটি শুধুমাত্ত সাগীরাহ গুনাহ। কাবীরা গুনাহ হতে মাফ পেতে হলে তওবা করতে হয়।

 

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) হতে বর্ণীত । আমি রাসুল (স.) কে জিঙ্গাস করাম কোন কাজ বা আমল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশি প্রিয়? রাসুল (স.) বললেন:- সঠিক সময়ে সালাত আদায় করা । (বুখারী-৫২৭/মুসলিম-৮৫)

হাদিসটির ব্যাখ্যা:-  এই হাদিস দ্বারা বঝানো হয়েছে সর্বউত্তম আমল সালাত। তবে নিদির্ষ্ট আর্থাত সময়ের সাধে আদায় করতে হবে। সময় না হলে সালাত আদায় করা যাবে না। আবার সময় চলে গেলেও সালাত আদায় করা যাবেনা। তবে কারন বসত ওটা অন্য কথা।

 

জাবির (রা.) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন রাসুল (স.) বলেছেন:- মুমিন বান্দা ও কুফরির মধ্যে পর্থক্য হলো সালাত পরিত্যাগ করা।

অর্থৎ যে ব্যাক্তি সালাত ত্যাগ করল সে কাফির হয়ে গেল। আমাদের রাসুল (স.) সালাত কে আধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি আর কোন ইবাদত ত্যাগ করলে কাফির বলেন নি। তবে তিনি বলেছেন যে ব্যাক্তি সালাত ত্যাগ করল সে কুফরি করল। তাই অমরা সালাত আদায় করবো।

 

উবাদাহ ইবনুস সামিত (র.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন , রাসুল (স.) বলেন , পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, যা আল্লাহ তায়ালা বান্দার উপর ফরজ করেছে। যে ব্যাক্তি এ সালাতের জন্য ভালোভাবে ওজু করবে ,সঠিক সময়ে আদায় করবে এবং  রুকু,সিজদা ঠিক ভাবে করবে, তার জন্য আল্লাহ ওয়াদা করেছে যে , তিনি তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর যে না করল তার জন্য ওয়াদা নেই । ইচ্ছাকরলে তাকে ক্ষমা করে দিবেন বা শাস্তি দিবেন। (আবু দাউদ -৪২৫)

 

সালাতকে জান্নাতে প্রবেশের অন্যতম শর্ত হিসাবে এখানে উপস্থাপনা করেছেন। তবে সালাত আদায় করতে সময় মতো এবং শুদ্ধভাবে।

সালাত সম্পর্কে অনেক বলা হয়েছে । কেননা এর গুরত্ব অপরিসীম । এ সম্পর্কে বলে শেষ করা জাবে না। তাই সংক্ষেপে অধিক গুরুত্বপূর্ন হাদিস তুলে ধরা হলো। আসা করছি এর মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন সালাত কতটা জরুরি।  এর পরেও কিছু সালাতের গুরুত্ব ও সালাতের সময় নিয়ে আলোচনা করা হবে ইনসাল্লাহ।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ