শাওয়াল মাসের ৬টি রোজার ফজিলত
শাওয়াল মাসের ৬টি রোজার ফজিলত। আরবি মাসের অনত্যম একটি মাস হেলো শাওয়াল। এটি আরবি মাসের দশম মাস।শাওয়াল মাস আসে রমজান মাসের পরে। শাওয়াল শব্দটি আরবি । যার অর্থ হলো: উঁচু করা, উন্নতকরণ; প্রার্থনায় হস্ত উত্তোলন করা অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট হাত দুটিকে উচু করে ধরে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া। এবয় এই মাসের আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ । যেই আমল দারা নেকির পাল্লা ভারি হয়।
রমজানে আমরা ৩০টি রোজা রাখার পরে এই শাওয়াল মাসের ১তারিখ আমরা অন্যতম একটা ওয়াজিব ইবাদত অর্থাৎ ঈদ পালন করি। এবং এই মাশেরই প্রথমে সাদকাতুল ফিতরা আদায় করা হয়।যা মুসলিম জাতির কাছে আনান্দ বয়ে আনে। ধনি, গরিব, ছোট, বড় সবাই এই ঈদ পালন করে আনান্দের সাথে। এই রমজানের পরে যখন শাওয়াল আসে তখুন ছয়টি সিয়াম/রোজা রাখতে হয়। যার ফজিলত অনেক।
প্রথমেই বলি, রমজান মাসে সিয়াম পালন করা ফরজ হলেও শুওয়াল মাসে ছয়টি সিয়াম বা রোজা রাখা ফরজ নয়। এটি সুন্নাত। এই সিয়মি বা রোজা ছয়টির অনেক ফজিলত অনেক গুরুত্ব আছে। রমাজানে সিয়াম বা রোজা পালন করার পরেই এই রোজার দিকে নজর দিতে হয়। আমাদের রব মহান আল্লাহ তাআলা সূরা ইনশিরার আট নম্বার আয়াতে বলেন, ‘যখন তুমি ফরজ দায়িত্ব পালন থেকে অবসর হবে, তখন নফল ইবাদতের মাধ্যমে তোমার রবের প্রতি মনোনিবেশ করো। এ থেকে বুঝা যাই আমাদের ফরজ সিয়াম বা রোজা পালন করার পরেই আমাদের নফল বা সুন্নাত এর দিকে নজর দিতে হবে। আর্থাৎ শাওয়াল মাসের ৬টি রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানতে হবে এবং তা পালন করতে হবে।
সিয়াম মানে শুধু না খেয়ে থাকা নয়। মহান আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য খাওয়ার সাথে সাথে সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা কে বুঝাই। আর বেশি বেশি ইবাদত করতে হয়। তাই আমরা এই ছয়টি রোজা রাখার আগে এই দিক বিবেচনা করবো।
ছয়টি রোজা অর্থাৎ এই শাওয়াল মাসে ছয় টি রোজা রাখা সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবি রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যারা রমজানে রোজা পালন করবে এবং শাওয়ালে আরও ছয়টি রোজা রাখবে, তারা যেন সারা বছরই রোজা পালন করল’ (মুসলিম, হাদিস: ১১৬৪)
এই হাদিসটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। একটি মানুষের পক্ষে সারা বছর সিয়াম পালন করা বা রোজা রাখা অনেকটাই অসম্ভব। কিন্তু আমাদের মহান আল্লাহ আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন। অমরা শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখলেই সারা বছরের রোজা রাখার সমান সওয়াব পাই। এটি আমাদের জন্য কত বর নিয়ামত। এর গুরুত্ব আমরা নিজেই বুঝতে পারছি। তাই আমরা শাওয়ার মাসের ছয়টি রোজা রাখেতে চেষ্টা করবো।কেননা শাওয়াল মাসের ৬টি রোজার ফজিলত অনেক।
কেননা এই মাসের ইবাদত অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, এই মাসের ছয়টি সিয়াম পালন করলে বা ছয়টি রোজা রাখলে একজন ব্যাক্তির সকলা পাপ ক্ষামা করে দেওয়া হয়। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি এই শাওয়াল মাসের ছযটি রোজার ফজিলত কতো বড়।
আমাদের সৃষ্টি কর্তা মহান আল্লাহ তায়আলা কাজা সিয়ামম বা কাজা রোহা সম্পর্কে বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে কিংবা সফরে থাকবে, সে (রমজানের পরে) অন্য দিনগুলোতে রোজা পালন করবে’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৪)।
এই আয়াত দ্বারা ফরজ সিয়াম এর গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে। এতটাই গুরুত্ব যে সময়ের সাথে সিয়াম পালন না করবে পরে আদায় করতে হবে। আমি এটাই বুঝাতে চাচ্ছি যে সিয়াম এর ফজিলত কত। আর এই ফরজ সিয়াম এর পাশা পাশি শাওয়াল মাসের এই ছয়টি রোজাও অনেক গুরুত্বপূর্ন।
এবং এই কাজা সিয়াম বা রোজা পরবর্তি রমজান মাস আসার আগেই পালন করতে হবে। অন্যথাই এই কাজা সিয়াম বা রোজা ফরজ সিয়াম হিসাবে গন্য হবে না। তবে আবার রমজান আসার আগে যে কনো সময় আদায় করা যাবে। মাঝে মাঝে বিরতি দিয়েও আদায় করা যাই এতে কনো সমস্যা নাই। তাই আমরা বাকি রোজা পরে আদায় করে নিব। এবং তার সাথে সাথে শাওয়াল মাসের ৬টি রোজার ফজিলত এর দিকে নজর দিবো।
0 মন্তব্যসমূহ