আমাদের উসমান
গাজী বা উসমান বে
উসমান গাজি বা উসমান বে। নামটা আমাদের সবার চেনা।
আর চেনা হবেই না কেন ? তিনি যে ছিলেন এক মহান বীর। শুধুই কি বীর ছিলেন এক মহান শাষন
কর্তা। তার অন্যতম একটি পরিচয় তিনি ছিলেন মহান যোদ্ধা আরতুগ্রল বেই এর সন্তান। আরতুগ্রল
গাজি তাকে সত্যের পথ্যে চলা শিখিয়েছিলেন। তার মাধ্যমেই তুর্কিদের শাষন শুরু। যদিও তার
সময় টা ছিলো অন্যরকুম ।
তাই ইতিহাসের
পাতাই তার সেইভাবে নাম নাই। কিন্তু এক বীর সন্তান এর বাবা তিনি। উসমান বেই এর মাতার নাম ছেলেন হালিমা। তিনি ছিলেন
তুর্কিদের নেতা এবং এই উসমান বেই তৈরি করেছিলেন উসমানি সামরাজ্য। যদিও প্রথম দিকে তার
সাম্রাজ্য ছোট ছিলো তবুও এক সময় তার তার সাম্রাজ্য বিশাল সাম্রাজ্য তে পরিনত হয়। তার
জন্ম ১৩ ফেব্রুয়ারি
১২৫৮।
একসময় এই
উসমান কায়ি গোত্রের
খান উপাধি ধারণ করেন। একসময় সেলজুগ শষ হয়ে যাই। এমন
সময় আনাতোলিয়ার অন্যতম একটি সম্রাজ্য হয়ে উঠে উসমানি সাম্রাজ্য। উসমান বে আনাতোলিয়ার
সকল তুর্কিদের একসাথে করেন । মোঙ্গলরা যকন ভয়াবহ হয় উঠে। মুসলমানদের উপর নানা রকম অত্যাচার
করতে থাকে তখন অনেক মুসলমানই উসমান বেই এর রাজ্য আসে এবং তার কাছে আস্রয় চাই এবং আমোদের
এই উসমান বেই তাদেরকে আশ্রই দেয়।
তার বাবা
ছিলেন এক অন্যতম বীর। তার বাবা আরতুগ্রল গাজী সত্যের সাথে অনেত কিছু জয় করেছিলেন। এবং
তার ছেলে উসমান কে ইসলামম ও সত্য এর পথে চেলতে বলেছিলেন। আরতুগ্রল গাজির মৃত্যুর পর
উসমান বসতির দায়িত্ব গ্রহন করেন। এবং তার বীরত্ব ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে উসমানি সমরাজ্য
প্রতিষ্ঠা করতে থাকেন।
তিনি বাইজেন্টাইন
সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়েছেন সারা জীবন। অনেক মুসলিম মঙ্গলদের বীরুদ্ধে লড়তেন তবে
তারা অনেত থাকাই ুসলিমদের ধ্বংশ করতে লাগলেন এই সময় অনেক মুসলিম উসমানের আস্রয় নেই
এবং উসমানের সাহায্যে তারা বীর যোদ্ধা হয়ে উঠে। তারা সবাই উসমান এর সেনা হয়ে যাই। ফলে
উসমান এর বাইজেন্টাইন এর বীরুদ্ধে লড়তে আরো সহজ হয়ে যাই।
সকল মুসলিম
সন্যদের একসাথে করে উসমান তৈরি করে ফেলে এক বিশাল সৈন্য। তিনি বাইজেন্টাইনদের থেকে
মুসলিমদের রক্ষা করতে থাকলেন। তিনি তার সাম্রাজ্য বাড়ানোর দিকে নজর দিলেন। এবং কিভাবে
তার সাম্রাজ্য বাড়ানো যাই তা নিয়ে ভাবতে থাকলেন। তিনি সতরুদের বীরুদ্ধে লড়তে থাকলেন
এবং একের পর এক বীজয় অর্জন করলেন। তিনি যখন দেখতেন গায়ের জরে বীজয় অর্জন করা যাবে না
তখন বুদ্ধি দিয়ে কা অর্জন করতেন। কখনো তিনি খাবার না দিয়ে বীজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। কখুনো
রাতের আধারে হামলা করে বীজয় অর্জন করেছেন আবার কখনো দিনের আলোতে যুদ্ধ করে বীজয়ী হয়েছেন।
উসামান বে
তার বাবা আরতুগ্রল এর চাইতে মন মানুষিকতার দিক থেকে অনেকটাই আলাদা ছিলেন। তার বাবা
এক মহান যোদ্ধা ছিলেন এবং তার বীরত্ব দিয়ে অনেক কিছু জয় করেছিলেন কিন্তু আরতুগ্রল গাজি
কখনো তার আশেপাসের এলাকা দখল করার কথা ভাবেন নি । ভাবেননি সাম্রাজ্য বিস্তার করার কথা।
তিনি শুধু সত্যের পথে ইসলাম এর জন্য ও সালতানতের জন্য লড়তেন। কিন্তু তার ছেলে অমাদের
উসমান বে তার আশেপাসের এলাকাই সাম্রাজ্য বিস্তার কথা ভাবলেন এবং একের পর এক তা অর্জন
করলেন এবং প্রতিষ্ঠা করলেন এক বিশাল সাম্রাজ্য।
উসমান একসময়
অসুস্থ হতে থাকে। এবং উসমানি সাম্রাজ্য এর সকল দায়িত্ব তার ছেলেকে দিয়ে দেয়। তবে আরতুগ্রল
তার পিতা তাকে যেসব শিক্ষা দিয়েছিলেন ঠিক একি
ভাবে তিনি তার ছেলেকে কিছু কথা বললেন। উসমান তার ছেলেকে বললেন – আমার বীর । কখুনো অন্যায়কে
প্রশ্রয় দেবে না। সবসময় সত্যর পথে চলবা এবং মহান আল্লাহ তায়ালা অমার রব তার দওয়া ইসলাম
কে কখনো ছেড়ে দেবে না। সবসময় ইসলাম এর পথে চলবা।
উসমান বে
এর পিতা আরতুগ্রল কে নিয়ে একটি ড্রামা সিরিজ করা হয় এবং এই সিরিজ মুসলিম বিশ্বে অনেক
জনপ্রিয়তা লাভ করে। এবং তার জন্য তার ছেলে উসমান বে এর জীবনি ও বীরত্ব নিয়ে তৈরি করা
হয় কুলুস উসমান নামের ড্রামা সিরিজটি। এটি মুসলিমদের কাছে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
যেমনটা পেয়েছিলো দিরিলিস আরতুগ্রল। পৃথিবীর অনেক দেশেই অনেক ভাষায় চলছে এই সিরিজ। এমনকি
আমাদের দেশে বাংলা ভাষাতেও চলছে এই সিরিজটি।
আমরা সত্যের
পথে চলব । ইসলাম এর পথে চলব। আর যারা সিরিজটি
দেখিনি তারা অবশ্যই দেখবো। তবে আমি মনে করি কুরুলুস উসমান দেখার আগে দিরিলিস আরতুগ্রল
টা দেখবো।
0 মন্তব্যসমূহ