কয়েকজন
দিগ্বিজয়ী মুসলিম বীরের নাম
আমরা মুসলমান
। আমাদের পূর্ব পূরুষরা ইসলামের জন্য জীবন দিয়েছেন। লড়েছেন বীরের মতো। আর্জন করেছেন
বিজয়। আথচো আমরা তাদের নাম জানি না। আসুন আজ কিছু মুসলিম বীরের নাম জেনে নি। নিচে তাদের
সম্পর্কে দেওয়া হলো।
১.খালিদ বিন ওয়ালীদ রাঃ :- সকল বীরেরা ছিলো উত্তম। তাদের সরতার কাছে আমরা কিছুই না।
কিন্তু
যুদ্ধক্ষেত্রে খালিদ রাঃ
এর ক্ষীপ্রতা সকলের
চাইতে বেশি ছিল যার কারণে রাসূল সাঃ তাকে ‘সাইফুল্লাহ বা আল্লাহর তরবারি’
তে ভূষিত করেন। যা মুতা ও
ইয়ারমুকে সেনাপতি হিসেবে দেখিয়েছিলেন। সুতুরাং বলা যাই তিনি
ছিলেন এক মহান বীর।
২.তারেক বিন যিয়াদ
:- তিনি ছিলেন বীর
সেনাপতি এবং এক মহান যোদ্ধা। তিনি স্পেন
বিজয়ের মহানায়ক । স্পেন বীজয় করা মুখের কথা নয় যা তীনি
করে দেখিয়েছিলেন। তিনি যে মহাযোাদ্ধা ছিলেন তাতে সন্দেহ নেই।
৩.মুহাম্মদ বিন কাসিম
:- মুসলিম বীজয়ীদের মধ্যে
তিনি ছিলেন সকচেয়ে ছোট। মুহাম্মদ
বিন কাসেম ছিলেন ১৭বছরের বালক।
ভারত মহাদেশে সিন্ধু থেকে মুলতান পর্যন্ত বিজয়ের প্রথম মহানায়ক ছিলেন তিনি। তাই সবচেয়ে ছোট হিসাবে
তার বীরত্ব ভুলার মতো নয়।
৪.মুসা বিন নুসাইর
:- মুসা বিন নুসাইর ছিলেন আফ্রিকার
গর্ভনয় এবং তিনি ছিলেন স্পেন
বিজয়ের মূল সেনাপতি। তিনি গর্ভনর সত্তেও সেনাপতি
হিসাবে কাজ করেছিলেন।
৫.ইউসুফ বিন তাশফীন:-তিনি ছিলেন খ্রিস্টানদের
কবল থেকে স্পেনকে পুনরুদ্ধারকারী ও আফ্রিকার মরক্কোর
গর্ভনর এবং একই সাথে তিনি ছিলেন মুরাবিতুন
সম্রাজ্যের আমীর।
৬.তৃতীয় আব্দুর রহমান:-
তৃতীয় আব্দুর রহমান ২৭বছর যাবৎ স্পেনের বিদ্রোহ দমনকারেছিলেন ও স্পেনের কর্ডোভা ভিত্তিক প্রথম মুসলিম খলিফা হয়ে স্পেনকে তৎকালীন সময়ে মুসলিম পরাশক্তিতে নিয়ে গেছিলেন। সেযুগে মুসলিমদের যখুন বহিরা
শক্তি নিয়ন্তন করতো তখুন তিনি তাদের রক্ষা করেছিলেন।
৭.সুলতান সুলেমান:-
তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যকে তৎকালীন বিশ্বের একক পরাশক্তিতে পরিণত করে ও সমগ্র মুসলিম
বিশ্বকে খলিফা হিসেবে উসমানীয় খিলাফতের ছায়াতে কার্যকর করে এবং আলেকজান্ডারের রাজ্যজয়ের রেকর্ড ভঙ্গ করে সমগ্র ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার পদানত
করা যুদ্ধের মাধ্যমে বা চুক্তি বা
কয়েদ রাজ্যের মাধ্যমে। তাই বলা যাই তিনি ছিলেন এক
মহানায়ক।
৮.খাইরুদ্দিন বার্বারোসার:-
তিনি ছিলেন সুলতান সুলেমানের বিখ্যাত নৌসেনাপতি। যিনি কোন যুদ্ধে হারলে পাল্টা প্রতিশোধে তাকে হারিয়ে দিতেন। তার ক্ষীপ্রতায় পশ্চিম ইউরোপ থরথর করে কাঁপত। স্পেনের পঞ্চম চার্লসের নৌবাহিনীকে পর্যদুস্ত করে ৭০ হাজার মুসলিম
উদ্বাস্তু তথা মরিস্কোদের উদ্ধার করার অসামান্য অবদান রাখেন। তার ক্ষিপ্রতায়
রোমান সম্রাজ্যের মূল কেন্দ্র ইতালির ভেনিস ও সিসিলীর বন্দরও
রক্ষা পায় নি।
৯.সালাহউদ্দিন আইয়্যুবী
:- তিনি ছিলেন মিশরের গর্ভনর। তিনি শিয়া ফাতেমী খিলাফতকে তছনছ করে দেন। তিনি মুসলমানদের মধ্যে বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের উচ্ছেদ
করে সিরিয়াতেও কর্তৃত্ব স্থাপন করেন। তার সবচেয়ে অবদান মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করে বায়তুল মোকাদ্দাস বিজয়। তিনি বীরদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম একজন।
১০.রুকুনুদ্দিন বাইবার্স (দ্য প্যান্থার) :- বাগদাদ,
সিরিয়াতে যখন তাতারীদের আক্রমণের সামনে কেউ টিকতে পারছিল না তখন মঙ্গোলিয়ানদের
বিরুদ্ধে ও ক্রুশেডের বিরুদ্ধে
চিতাবাঘ রূপে এসেছিলেন তিনি। যার
বদৌলতে আইয়্যুবীর বিজয়কৃত বায়তুল মোকাদ্দাস খ্রিস্টানদের কাছ থেকে রক্ষা পায় শেষবারের মত
১১.সুলতান মাহমুদ গজনবী:-
তিনি ছিলেন বীরের মধ্যে বীর ।
তিনি একাই সমগ্র ভারত
মহাদেশ বিজয় অর্জন করেছিলেন।
১২.আর্তুগুলের পুত্র উসমান :- মঙ্গোলিয়ান ও খ্রিস্টানদের কড়াল
গ্রাসে যখন সেলজুক বিধ্বস্ত তখন উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতাকারী রুপে আর্বিভূত করে মুসলিম সম্রাজ্যের রক্ষক। উসমানীয় সাম্রাজ্যের পরবর্তী ৬০০ বছরের সুলতান বা খলিফা তার
তরবারিটি কোমরে রাখ।
১৩.সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহ:- তিনি এক
ব্যাক্তি যে কনস্টান্টিনোপল বিজয়
করেছিলেন।
১৪.ইমাম শামিল:-
তিনি ছিলেন রাশিয়ার
ককেশাস বিজয়ের মহানায়ক।
১৫.কুতাইবা বিন মুসলিম:-
তিনি তুর্কিমিনিস্তান
ও চীনের সিংকিয়াং উইঘুর মুসলিম প্রদেশ বিজয়
আর্জন করেছিলেন।
এরা
ছাড়াও রয়েছেন আরো অসংখ্য বীর ছিলেন যারা ইসলাম এর জন্য লড়েছিলেন । লড়েছিলেন
সত্যের পথে। আমাদের এদের অর্থাৎ মহার বরিদের কথা ভুলে গেলে চলবে না। আমাদের তাদের মনে রেখে সত্যের পথে চলতে।
আমাদের রব কে চিনতে হবে। আমাদের সন্তানদের তাদের মতো করে গড়ে তুলতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ