ইমান এবং
ইমানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
ইমান এবং ইমানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন। ইসলাম পাঁচটি
স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। তার একটি হচ্ছে ইমান। আর এই ইমানই হচ্ছে ইসলামের প্রথম স্তম্ভ
বা খুটি। যে ব্যাক্তি ইসলাম অনুযায়ী জীবন পরিচলনা কারে তাকে মুসলমান বলে। আর প্রত্যেক
মুসলমানের জন্য ইমান আনা অতিব জরুরি। কেননা ইমান ছারা একজন ব্যাক্তি মুসলমান হতে পারি
না ।
আমনুন শব্দ
থেকেই ইমানের শব্দটির উৎপত্তি। এর অর্থ অনেক থাকলেও বেশি গ্রহনযগ্য পাই বিশ্বাস স্থাপন
কারা বা নির্ভর করা। অর্থাৎ মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা বা মহান আল্লাহর উপর নির্ভর করা। আমাদের সৃষ্টি
কর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা এবং তার রাসুল হযরত মুহাম্ম্দ (স.) এর উপর বিশ্বাস স্থাপন
করতে হবে, এই বিশ্বাস হতে হবে অন্তর থেকে । মখে স্বিকার করতে হবে এবং ইসলাম অনুযায়ী
আমল করতে হবে , আর একেই ইমান বলে।
ইমানের পরিচয়
সম্পর্কে রাসুল (স.) বলেন :-
ইমান
হচ্ছে- ”আল্লাহ, তার ফেরেস্তা,কিতাবসমূহ, রাসুলগন পরকাল এবং ভাগ্যের ভালো মন্দের প্রতি
বিশ্বাস স্থাপন করা।’’ (মুসলিম)
আবার যেই
ব্যাক্তি এগুলার প্রতি পূর্ন বিশ্বাস স্থাপন করে তাকে বলা হয় মুমিন।
ইমান ও ইসলাম
এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ন সর্ম্পক বিদ্যামান। ইমানকে গাছের শিকড় এর সাথে তুলনা করা
যেতে পারে আর ইসলাম কে একটি গাছের শাখা প্রসাখার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। কেনান একজন
ব্যাক্তি ইসলাম অনুযায়ী জীবন পরিচলানা করতে চাইলে তাকে ইমান আনতে হয়। আর অন্যদিকে কোন
ব্যাক্তি ইমান আনতে চাইলে তাকে ইসলাম গ্রহন করকে হয়। তাই বলা যাই ইমান এবং ইসলাম এক
অপরের পরিপূরক। এই দুনিয়া ও আকিরাত লাভ করতে চাইলে ইমান ও ইসলাম দুটোকেই মন প্রান দিয়ে
মানতে হবে এবং এ অনুযায়ী আমল করতে হবে।
একজন মুসলিমকে
ইমানের কিছু নির্দিস্ট বিষয় এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করেতে হয়। বিষয় গুলো মোট ৭টি। যথা:-
১.
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস:-
ইমানের প্রধান বিষয় হলো আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
করতে হবে। তিনি এক। তিনি আমাদের সবকিছু দিয়ে বাচিঁয়ে রেখেছেন। তিনি ব্যাতিত কোন ইলাাহ
নেই। তিনি আমাদের পালনকর্তা , তিনি আমাদের জন্ম ও মৃত্যুর মলিক। সুতুরাং ইমান এবং ইমানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন। অন্যথাই মুমিন হওয়া যাবেনা।
২.
ফেরেস্তাগনদের বিশ্বাস:-
ফেরেস্তাগন নুরের তৈরী । মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের বেশেষ ভাবে সৃষ্টি করেছেন। ফেরেস্তা
অনেক রয়েছেন। তারা সবসময় মহান আল্লাহ তায়ালার আদেষ পালন করেন এবং তার ইবাদতে মগ্ন থাকেন।
তারা সকল প্রকার পানাহার থেকে মুক্ত। ইমান এবং ইমানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ।অন্যথাই
মুমিন হওয়া যাবেনা।
৩.আসমানি
কিতাবের প্রতি বিশ্বাস:- মহান আল্লাহর বানী কে আসমানী কিতাাব
বলে। আসমানি কিতাবের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা তার পরিচয় বর্ণনা করেছেন। সকল প্রকার
বিধি বিধান এর মাধ্যমে বলেছেন। এই সকল কিতাব আল্লাহ তায়ালা রাসুল গনের নিকট পাটিয়েছেন।
তাই আসমানি কিতাবের উপর বিশশ্বা স্থাপন করতে হবে। অন্যথাই মুমিন হওয়া যাবেনা।
৪.
নবি ও রাসুলের প্রতি বিশ্বাস:- যুগে
যুগে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক নবি ও রাসুল প্রেরন করেছেন। তারা ছিলেন মহান আল্লাহ তায়ালার
মনোনীত বান্দা। রাসুলদের উপর আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছেল। এবং তারা মানুষের নিকট হেদায়েতের
জন্য কাজ করতেন । তারা মানুষেকে দিনের দাওয়াত
দিতেন। তাই নবি ও রাসুলের প্রতি বিশ্বাস
স্থাপন করতে হবে। অন্যথাই মুমিন হওয়া যাবেনা।
৫.
তকদিরে বিশ্বাস:-
তকদির অর্থ ভাগ্য । অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা
আমাদের তকদিরের মালিক। আমাদের ভালো ,মন্দ সবকিছু তারই হাতে। আমাদের যা ইচ্ছা তাই করতে
পারবো না, আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি। পাওয়া না পাওয়া মহান আল্লাহর হাতে। তাই ইমান এবং ইমানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।
৬.আখিরাতের
প্রতি বিশ্বাস:- আখিরাত
অর্থ পরকাল। মৃত্যুর পরের জীবনকে আখিরাত বলে। আখিরাতের জীবন চিরস্থায়ী। আকিরাতে আমাদের
ভালো মন্দ কাজের হিসাব দিতে হবে। এই দুনেয়াই ভালো কাজ করলে আখিরাতে জান্নাত পাওয়া যাবে
অন্যথায় চিরস্থায়ী জাহান্নামের আগুনে পুরতে হবে। তাই আখিরাতে বিশ্বাস জরুরি। অন্যথাই
মুমিন হওয়া যাবেনা।
৭.মৃত্যুর
পরের জীবনকে বিশ্বাস:- আমাদের এই জীবনাই শেষ নয়। বরনং মৃত্যুর
পর আরেকটি জীবন আছে। এটি অনন্ত। কিয়ামতের দিন আবার সবাইকে জীবিত করা হবে। এবাং মহান
আল্লাহ তায়ালা সেই দিন ভালো মন্দের বিচার করবেন। তাই আমাদের মৃত্যুর পরেরে জীবনকে বিশ্বাস
করতে হবে। অন্যথাই মুমিন হওয়া যাবেনা।
সুতুরাং বলা
যাই একজন মুসলমানের জন্য ইমান আনতে হলে এসবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা অতীব জরুরি।
0 মন্তব্যসমূহ