আরতুগুল ও হালিমা সুলতানার ভালোবাসার কাহিনী পর্ব -২

 


আরতুগুল ও হালিমা সুলতানার ভালোবাসার কাহিনী পর্ব -২


সমস্যার মধ্যে ‍দিয়েও দিন কাটতে থাকে। আরতুগ্রল সফল হয়ে ফিয়ে আরে আসে বসতিতে। এসেই দেখা করতো তার মনের মানুষ হালিমার সাথে। হালিমা যেন আরতুগ্রল কে দেখে প্রান ফিরে পেল। হাল্লাপ সহর থেকে আরতুগ্র্রল হালিমার জন্য নিয়ে এলে এক উপহার। উপহার টি ছিলো আয়না। হালিমা উপহার টি নিয়ে তো মহা খুশি যদিও সবটুকু খুসি ‍নিরবেই উপভোগ করলো । ওই আয়নাতে তাদের যেন একি ফ্রেমে দেখা যায়। ঠিক নে ২টি পাখির মতো। হালিমা যখন সেটিতে মুখ দেখত তখুন সে কতই না কি ভাবতো। তার মনে বয়ে যেত হাজোরো কথা । হাজারো ভালোবাসা আর সবটুকু যেন তার আরতুগ্রলের জন্য।

 

এদিকে বসতিতে আরতুগ্রলকে নিয়ে যেন সমালচনা  শুরু হতে থাকে । কেননা পরিচয় না জানা হালিমাকে আরতুগ্রলের মতো এক বীর তার মনের ম্ধ্যে বেধে নিয়েছে । তার মালিদা ,বাবা কেও এ খবর জানতে  আর বাকি নাই। সেলচান খাতুন তার বোনের সাথে আরতুগ্রলের বিয়ে দেওয়ার জন্য লেগে যাই। আরতুগ্রলের বাবা মাও এতে রাজি। কিন্তু আরতুগ্রল জে চাই সেই মানুষটাকে যে তার মনে বাস করছে । সে আর কেও না হালিমা সুলতানা।

 

আরতুগ্রল বাবাকে কে কিছু বলতে পারেনা। তবে তার মাকে জেন খুব ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিল হালিমাই তার মনের মানুষ এবং তাকেই  তার চায়। সে তার মাকে বলল- যে চোখে আমি নিজের সুখ খোঁজে পেয়েছি তাকে কেমনে না বলি?

 

 দুনিয়ার সবইতো জানো মা --শুধু হ্রদয়ের কথাটাই জানো না। আমি সুন্দর চোখের মায়া কেমনে ভুলে যাবো? যদি কখনো সাহস করে হালিমা তুমি আমাকে চাও কিনা? আর যদি সে হ্যা বলে তাহলে আমার ভালেবাসা  থেকে কিভাবে তাতে দূরে রাখবো মা? এসব কথার মধ্যে তার মাও খুব ভালো ভাবে বুঝেগেল। কিন্তু সে বসতির সরদারে রানী ।  তাকে সব কিছু ভাবতে হয়। এদিকে গুকুচের কথা ভেবে আরতুগ্রলের ভালোবাসা মেনে নিতে ‍পারছেন না তিনি। আবার তার সন্তানের কষ্টও  দেখতে পারছেনা । সবদিক থেকে মা যেন ভুগছেন নানা চিন্তাই।

   

এইদিকে সেলচান খাতুন, সুলেমান সাহ বসতির সবাই চাইছে আরতুগ্রলের বিয়ে হক গোকুচের সাথে। কিন্তু আরতুগ্রল কেমন করে এটা মেনে নিবে সে যে গোকুচে কে তার ছোট বোন হিসাবে দেখে।

 

যাইহোক—সুলেমান সাহ  ঘোসনা করে দিলে গোকুচের সাথেই আরতুগ্রলের বিয়ে হবে। এ সুনে চেলচান ও তার  বোন তো মহা খুসি কিন্তু অন্যদিকে আরতুগ্রল আর হালিমা পড়ে যাই চিন্তাই। এক সময় আরতুগ্রল গোকুচেকে পরিস্কার ভাবে বলে দেয় – দেখ আমি ছোট থেকে আমি তোমাকে আমার বনের চোখে দেখেছি আমি এই বিয়ে মেনে নিতে পারবো না। আমি হালিমাকে ভালোবাসি আর আমি তাকেই বিয়ে করবো।

 

আরতুগ্রল হালিমার পরিচয় না যেনেই তাকে বিয়ে করতে চাই। তারা দুজনেই অনেক চিন্তার ম্ধ্যে পরে যাই। কিন্তু তাদের ভালেবাসা কমে যাই নি। যতই সমস্যা আসে তারা মকাবেলা করতে থাকে আর বাড়তে থাকে তাদের ভালোবাসা।

 

দিন দিন তাদের সমস্যা আরো বাড়তে থাকলো। চাপে থাকতে লাগলো আরতু্গ্রল। এরকম এক কঠিন সময়ে হালিমা তার পরিচয় প্রকাাস করল। সে সেলযুগের সাহাজাদি হালিমা সুলতানা। সুনে সবাই তাকে সম্মান করতে লাগলেও তার জন্য যে বসতিতে আরো সমস্যা আসবে তাই আনেকই তাকে খারাপ চোখে দেখতে লাগলো। আর সেলচান তো খুত খুজে পেল হালিমার আরো আপান করতে লাগলো হালিমাকে। পরিচয় প্রকাশের মধ্যদিয়ে হালিমা আরতুগ্রলকে আরো বিপদে ফেলে দিল।

 

এইদিকে আরতুগ্রলের বড় ভাইকে বিপক্ষ দল গ্রেফতার করে নেয়। বিনিময়ে হালিমার বাবা ও তার ভাইকে চাই। আরতুগ্রলের জন্য এটা যেন আরেক নতুন সমস্যা হয়ে দাড়াই। এমতো অবস্থাই হালিমা তার পরিচয় গোপন  রাখার কারোনে আরতুগ্রলের কাচে ভুল শিকার করে।

 

এতে আরতুগ্রল হালিমাকে খুব ভালোভাবে জানিয়ে দিয় তুমি আমার ভালোবাসাতে যে সুখ খুজে পেয়েছ এতেই আমি ধন্য। পুরু পৃথিবী আমার বিপক্ষে থাকলেও আমি তোমারি থাকবো।

 

হিালিমাও বলে দেয় আমি আর কখন এত কষ্ট পাইনি যতটা তোমাকে হারানোর ভয়ে পেয়েছি। আমার বিশ্বাস তুমি আমার বাবা আর ভাইকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। কথা দাও আরতুগ্রল তুমি আমার বাবা আর ভাইকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে??


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ